মরিয়মফুলের বিস্তারিত

শতাব্দী ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের প্রসবকালীন সময়ে এই ফুলের ব্যবহার একরকম আবশ্যক। ঐতিহ্যবাহী ধাত্রীরা শত শত বছর ধরে প্রসবকালীন সময়ে মায়ের বেদনা লাঘব করার জন্য এই ফুলের ব্যবহার করছেন।শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন মনীষী এর ব্যবহারের উপর অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন এবং বাতলে দিয়েছেন এর ব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিসমূহ। খ্রীষ্ট ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলেও এর কথা বর্ণনা করা হয়েছে।এই ফুলকে হযরত ঈসা আঃ এর মায়ের নাম নামানুসারে ‘মরিয়ম ফুল বা মরিয়ম বুটি’, নবী সাঃ এর কন্যা ফাতিমার নামানুসারে “ফাতিমার হাত বা হ্যান্ড অব ফাতিমা” আবার মিসরে কপ্ মরিয়ম অর্থাৎ মরিয়মের হাতের কবজা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।তবে কোরআন হাদিসের কোন ভিত্তি নেই। এবং এর বৈশিষ্ট্য অনুসারে ‘পুনরুত্থান উদ্ভিদ’ বলা হয়। কারণ এই ফুল দেখতে খটখটে শুকনো ও মরা মনে হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই তরতর করে পাপড়ি মেলতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ফুটন্ত ফুলের মতো তাজা আর পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়ে যায়।

এ এক আশ্চর্য ফুল।মরিয়ম ফুল ও বিজ্ঞানঃ মরিয়ম ফুল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের গর্ভাবস্থায় এবং ডেলিভারির সময় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল আনস্ত্যাটিকা হিয়ারোচুনিচিকা (Anastatica Hierochuntica) । এটি সাহারা-আরবীয় মরুভূমিসহ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।উপাদানএই ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে এর কোন নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।এ ফুলটি আরব দেশ সহ আফ্রিকার দেশ গুলোতে খুব ক্বদর রয়েছে। এটি ভেষজ চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা যায়। অনেকে যা মনে করেন কোরআন হাদিসে আছে এমন কিছু অমুলক কিছু ধারনা ও পোষন করেন যা লোক মুখে শুনা যায় তা সঠিক নয়

এটি কি ভাবে সেবন করবেন?

প্রসবকালীন সময় এই ফুল বিশেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে হয়। এতে প্রসূতি মায়ের প্রবস বদেনা লাঘব হয় এবং দ্রুত ও সহজে ডেলিভারী সম্পন্ন করা যায়।১/ ডেলীভারীর সময় ঘনিয়ে আসলে, বেদনা আসার জন্য এবং অতিসহজে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য একটি মরিয়ম ফুল খোলা- মেলা একটি পানি ভর্তি পাত্রে রেখে দিবে যাতে পানিতে রাখার পর ফুলটি ডুবে যায়, এভাবে কয়েক ঘন্টা বা ১০/১২ ঘন্টা রাখার পর দেখা যাবে যে মরিয়ম ফুলটি সম্পূর্ণ খুলে গেছে বা ডাল পালা গুলো ছডিয়ে গেছে তার পর এ পানি গুলো আল্প অল্প করে রুগিকে পান করাতে হবে এতে অল্প সময়ে নরমাল ডেলীভারী হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। অথবা গরম পানিতে ও ভিজিয়ে রাখলে অল্প সময়ের মধ্যে খুলে যাবে।২/অথবা প্রসব বেদনা উঠার পর একটি ফুল সম্পূর্ণ ১ লিটার পানিতে ১০/১৫ মিনিট সিদ্ধ করে এ পানি পান করাতে হয়। প্রতি আধা ঘন্টা পর পর এ পানি ১ কাপ করে পান করাতে হবে।এতে অল্প সময়েই নরমাল ডেলীভারী সহজ হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।